নেটওয়ার্কের আওতায় খালেদার কার্যালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম
দীর্ঘ ১০ দিন বিচ্ছিন্ন থাকার পর আবার চালু করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের মুঠোফোন সংযোগ।
তবে শুধুমাত্র বেসরকারী মুঠোফোন কোম্পানি গ্রামীণফোন ছাড়া অন্যসব মুঠোফোন সংযোগ এখনও বিচ্ছিন্নই রয়েছে। একইসঙ্গে বিচ্ছিন্ন রয়েছে টিএন্ডটি ফোনসহ কেবল টিভি ও ইন্টারনেট সংযোগও।
আজ মঙ্গলবার গুলশান কার্যালয়ের বিশেষ সূত্র সংযোগ চালুর বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানায়, অন্যান্য মুঠোফোন কোম্পানীর সংযোগও চালুর চেষ্টা চলছে।
গুলশান কার্যালয়ের আশপাশে মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক জটিলতার কারণে টেলিফোন যোগাযোগ ও ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রে সমস্যায় ছিল কয়েকটি দূতাবাস।
বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের আশপাশে জাপান, নেদারল্যান্ডস ও স্পেন দূতাবাস মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে টেলিফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারে অসুবিধার বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানায়। তিন দূতাবাসের অনুরোধের বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) জানিয়েছিল, একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন কার্যালয়ের সূত্র জানায়, আজ দুপুর থেকে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে। তবে মুঠোফোন ছাড়া অন্য সংযোগগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে।
একাধিক মুঠোফোন কোম্পানির সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দূতাবাসগুলোর মুঠোফোন নেটওয়ার্ক চালু করে দিতে বিটিআরসি থেকে মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গুলশান এলাকায় মুঠোফোন কোম্পানিগুলোর নেটওয়ার্ক সচল করা হয়।
সুনির্দিষ্ট কোনো বাড়িতে নেটওয়ার্ক চালু বা বন্ধ করা সম্ভব নয়। ভিটিএসের ট্রান্সিভার (ট্রান্সমিটার ও রিসিভার) চালু করে দেয়ার কারণে খালেদা জিয়ার কার্যালয়েও নেটওয়ার্ক পাওয়া যেতে পারে’ বলে মুঠোফোন কোম্পানি জানিয়েছে।
গত ৩০ জানুয়ারি দিবাগত রাত পৌনে তিনটায় বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়া হয়। এর পরদিন দুপুরের দিকে বিভিন্ন মুঠোফোন কোম্পানির সংযোগ, ইন্টারনেট, কেবল টিভি, টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
প্রায় ১৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ৩১ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়। তবে অন্য সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন ছিল। টেলিটক ছাড়া অন্য ফোনো নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছিল না।